মাঠে লিওনেল মেসির এবং ডাগআউটে কোচ লিওনেল স্কালোনি ছাড়ায় সহজ জয়ই পেয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। মেসির অনুপস্থিতিতে ছন্দে থাকা লাওতারো মার্তিনেজের জোড়া গোলে পেরুর বিপক্ষে জিতেছে আলবিসেলেস্তেরা। এই জয়ে ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা।
রোববার (৩০ জুন) মায়ামির হার্ডরক স্টেডিয়ামে পেরুর বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনার পক্ষে জোড়া গোল করেন লাওতারো মার্তিনেজ।
মেসিহীন আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে পেরু শুরু থেকেই চাপে ছিল। পেরুর গোলরক্ষক গ্যালিসকে প্রথমার্ধের নায়ক বলা যেতেই পারে। অন্তত চার বার নিশ্চিত গোল আটকেছেন তিনি। শুরু থেকেই আগ্রাসী ফুটবল শুরু করেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ারা। একের পর এক আক্রমণে পেরুর রক্ষণকে ব্যস্ত রেখেছিলেন আলবিসেলেস্তেরা। অধিকাংশ সময়ই খেলা হয়েছে পেরুর অর্ধে। পেরুর প্রায় সব ফুটবলারই রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত ছিলেন। তার মধ্যেই ২১ মিনিটে প্রতি আক্রমণে সুযোগ তৈরি করেছিল পেরু। তবে গোল হয়নি।
২২ মিনিটে লাওতারো মার্তিনেজ পেরুর বক্সে বল পান ডি মারিয়ার কাছ থেকে। তার শট আটকে দেন গ্যালিস। যদিও গোল হলেও পেত না আর্জেন্টিনা। মেক্সিকোর রেফারি জানিয়ে দেন মার্তিনেজ অফসাইডে ছিলেন। ২৬ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে আরও এক বার হতাশ করেন গ্যালিস। পেরেদেসের শট আটকে দেন তিনি। ৪৪ মিনিটে আর্জেন্টিনার আরও একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন পেরুর গোলরক্ষক। ডি মারিয়ার কাছ থেকে পেরুর বক্সের ডান দিকে বল পান মন্টিয়েল। তিনি পাস দেন লো সেলসোকে। তার শট আটকে দেন গ্যালিস। ফিরতি বলে গারনাচোর শট বারের উপর দিয়ে চয়ে যায়। গোলশূন্য ভাবে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় স্কালোনির শিষ্যরা। ৪৭ মিনিটে তার ফল পান তারা। ডি মারিয়ার থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে দলকে লিড এনে দেন মার্তিনেজ।
ম্যাচের ৭২ মিনিটে ডি মারিয়ার পাস ধরেই আরেকটি গোলের সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। গোলমুখে আর্জেন্টিনার শট হেসুস কাস্তিলোর হাতে লাগায় পেনাল্টি পায়। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। পারেদেসের জোরালো শট ফিরে আসে গোলবার থেকে। ৮৬ মিনিটে আর্জেন্টিনা অবশ্য ঠিকই দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায়। নিজের ও দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন মার্তিনেজ। এ নিয়ে আর্জেন্টিনার জার্সিতে শেষ ৬ ম্যাচে ৭ গোল করলেন মার্তিনেজ। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনো দল গোল না পেলে ২–০ ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।