বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিশুদের জন্য করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
সোমবারের (৮ জুলাই) মতবিনিময় সভায় স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট শিশু তথাপি স্মার্ট সিটিজেন কিভাবে তৈরি হতে পারে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত দেশ, যেখানে বর্তমান মূল্যে মাথাপিছু আয় হবে ১২,৫০০ মার্কিন ডলারেরও বেশি এবং যা হবে ডিজিটাল বিশ্বের সাথে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য শিশুদের তৈরি ও সুরক্ষার জন্য ২৫টি করণীয় হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, সাংস্কৃতিক ও মানসিক বিকাশ, সামাজিক ও আইনগত অধিকার নিশ্চিতকরণ সহ খেলাধুলা, প্রযুক্তি ও ডিজিটাল শিক্ষা এবং কারিগরি দক্ষতার উন্নয়নে ভূমিকা পালনের কথা বলা হয়।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার ঠেকিয়ে কিভাবে তা সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করা যায় এবং সেইফ ইন্টারনেট ব্যবহারে গুরুত্বারোপ করা হয়।
স্মার্ট শিশু তৈরিতে পাঠ্যক্রমের ভূমিকা কতটুকু এবং শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কতটুকু প্রদান করতে সক্ষম তা নিয়ে আলোচনা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সামাজিক শিক্ষা এবং বাস্তবিক জ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও বিকাশের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।
শিশুদের জন্য সহায়ক বিষয়গুলোকে আরও ব্যপকভাবে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের উপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট শিশু গড়ে তুলতে স্মার্ট প্যারেন্টস গড়ে তোলার বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে একসাথে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক, সরকারি ও বেসরকারি অংশদারিত্বের উপর জোর দেয়ার প্রস্তাব করা হয়।
সভায় শিশুদের সাংস্কৃতিক, মানসিক, অর্থনৈতিক, কারিগরি, ডিজিটাইলেজশন, ক্রীড়া, স্বাস্থ্য, মানবিক সকল ক্ষেত্রে সুষ্ঠু বিকাশ এবং অধিকার নিশ্চিতকরার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সঠিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে তা নিশ্চিতকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজ তানিয়া খান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ভূঁঞা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন দফতর-সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, আন্তর্জাতিক ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইউনিসেফ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, সেইফ দ্যা চিলড্রেন, ব্র্যাক, আইসিটি ডিভিশন, মনরোগ বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ হেলাল, ড. তারেক মঞ্জুর, ড. শাহমান মৈশান, বিটিআরসি, এনসিটিবি, গণমাধ্যমকর্মী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক প্রতিনিধি, শিশু প্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।