মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম সম্প্রতি তার বড় ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুকে হারিয়েছেন। পুত্র হারানোর বেদনা বুকে নিয়েই তিনি নৌকার বিজয়ের লক্ষ্যে যোগ দিয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও মতবিনিময় সভায়। তিনি বলেন আমরা শোককে শক্তিতে পরিণত করে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করব, ইনশা আল্লাহ।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মোহনপুরে আলী ভিলা মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিনের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুসের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এই আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম।

সভার শুরুতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেন, নৌকার বিজয় নিশ্চিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।

তিনি বলেন, সকল নেতাকর্মী যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয় ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, বিজয়ের প্রতীক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক, বাঙালি জাতিসত্তার প্রতীক, বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, শেখ হাসিনার প্রতীক। তাই আমার অনুরোধ, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একযোগে কাজ করতে হবে।

নিজের সন্তান প্রসঙ্গে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, আমার বড় ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু আমার চাইতেও বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে, সেটা তার জানাজায় সর্বসাধারণের অংশগ্রহণই প্রমাণ করেছে। সে মতলবের উন্নয়নে দিনরাত পরিশ্রম করেছে। তার স্বপ্ন ছিল মতলের মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। আমি আমার ছেলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় এবং আল্লাহ পাক যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন, সেজন্য সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি।

এসময় উপস্থিত সকলে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার লক্ষ্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন মানিক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি ব্যারিস্টার আশফাক চৌধুরী মাহী,  বাংলাদেশ রেলওয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ন কবির, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাকিয়া সুলতানা শেফালি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহিদ উল্লাহ প্রধান,  যুগ্ম-সম্পাদক আইয়ুব আলী গাজী,  মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার, মো. শাহজাহান মিয়া, গাজী ইলিয়াসুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ হানিফ দর্জি, জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ গাজী মুক্তার হোসেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য আহসান উল্লাহ হাসান, শাহআলম সিদ্দিকী, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ হোসেন, ফতেপুর পূর্ব ইউপির চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী,  কলাকান্দা ইউপির চেয়ারম্যান আ. সোবহান সরকার সুভা, ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, ষাটনল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম শরীফ উল্লাহ সরকার, ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দানেশ, মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হাই প্রধান, ফতেপুর পূর্ব ইউপির চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী, বাগানবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নান্নু মিয়া, ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন সরকার,  উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পারভীন শরীফ,  সাধারণ সম্পাদক লাভলী চৌধুরী, ছেংগারচর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির খান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম ডাবলু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মিনহাজ উদ্দিন খান, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত পোস্ট