শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দুর্নীতি বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসবে তাকে ধরবো। যাকে পাব, তাকে ধরবো। আমি চাই বলেই দুর্নীতির খবর বের হচ্ছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমার দায়িত্ব হচ্ছে দেশটি সুষ্ঠুভাবে চলুক। দুর্নীতি সব জায়গায় ছড়ানো ছিটানো ছিল। সেই জায়গা থেকে আমরা অনেক বেরিয়ে আসতে পেরেছি। করোনার সময় টেন্ডার দিয়ে না কিনে যখন যেটি প্রয়োজন ছিল সেটি করেছি। ড্রাইভার লেভেলে কি করবো। আমরা ধরছি বলেই তো বের হচ্ছে। আমার বাসার কাজের লোক সেও ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টারে ছাড়া চলে না। আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। দুর্নীতি ধরা পরলে ব্যবস্থা নেবো। হাত যখন দিয়েছি আমি ছাড়বো না। যাকে পাবো তাকে ধরবো।
রোববার (১৪ জুলাই) চীন সফর পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীন থেকে কিছু আনতে পারিনি। এটা বলে আসছে। আমি ৮১ সালে বাংলাদেশে আসার পর নেগেটিভ কথা বলে আসছে। ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করা। গোলামি করা এগুলো বলে আসছেন। দেশ বিক্রির চুক্তি করে আসছি।
তিনি বলেন, আমার মেয়ের জ্বর ছিল তাই যেতে পারেনি। আমি একজন মা। আমি আর্লি চলে আসছি। এতে যে কথা উঠবে আমি বুঝতে পারিনি। আমাদের সব ধরনের কাজ শেষ। একটু তাড়াতাড়ি প্লেন চলে আসছি।
শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামগুলো শহর হয়ে যাচ্ছে এটা তাদের কাছে সর্বনাশ। মেট্রোরেলে এ্যালিভেটেড এক্সপ্রেস তাদের কাছে সর্বনাশ। স্বল্প উন্নত দেশ বঙ্গবন্ধু রেখে গেছেন। ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা কিছু করেনি। আমি উন্নয়ন করেছি। তারা গ্ৰেনেড হামলা চালিয়েছে। আমি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জমি ও ঘর দিতে পেরেছি।
তিনি বলেন, কোটা বাদ দিলে কি হয়, ফরেন সার্ভিসে ২ জন। পুলিশে মাত্র ৪ জন নিয়োগ পেয়েছেন।  প্রশাসনের ক্ষেত্রে প্রথম নারীদের সচিব আমি করি। নারীরা যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের সব এলাকা সমানভাবে উন্নত না। কোর্টের বিষয় কোর্টকে সমাধান করতে হবে। আন্দোলন কারীরা আদালত মানে না। সংবিধান মানে না। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর কোনো অধিকার নেই। আন্দোলন করুক। কিন্তু বিশৃঙ্খলা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার নাতি নাতনিরা পাবেন না, তাহলে রাজাকারের নাতি নাতনিরা পাবেন। ছেলে মেয়েরা বাংলাদেশের ইতিহাস জানে না।
রাষ্ট্র কিভাবে চলবে তা সংবিধানে বলা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বলবে কেন? তাদের প্রতি এতো ক্ষোভ কেন?  বিচিত্র একটা দেশ। কোটা আর মেধা এক নয়। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা মেধাবী না। রাজাকারের সন্তানরা মেধাবী। রাজাকাররা তো দেশের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী জানান, আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন। আমেরিকার মত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে একজন রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর উপর এমন হামলার ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, গুজবে কান দিয়েন না। কিছু করতে চাইলে বলবেন নির্যাতন। আমি গুজবে কান দেই না।

সম্পর্কিত পোস্ট