শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কোটা সংস্কারের নামে স্বাধীনতাবিরোধীরা শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করছে

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীমহল দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশবিরোধী স্লোগান দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা, দেশব্যাপী সড়ক-মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মানুষের স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বাঁধা প্রদানের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জাতীয় পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের তীব্র নিন্দা জানান। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির প্রতিবাদে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান ও মহাসচিব প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলুর যৌথ সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা গেছে যে,  বিশেষ করে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির এহেন অরাজকতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের জন্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ পেশাজীবীগণ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রিমহলের এহেন দেশবিরোধী নৈরাজ্য সৃষ্টির কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা’কে রুখতে স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীমহল কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, অপরাজনীতি, নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটা বিষয়টি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত মীমাংসা করে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রদান করেছে। উচ্চ আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে আন্দোলন করার মানেই রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা দেখানো। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের ব্যানারে স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীমহল মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্র এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার মাধ্যমে তাদের ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে।

গণতান্ত্রিক দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন হবে সৃজনশীল, সংহত ও গঠনমূলক। কিন্তু এই কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মুখ থেকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী কুৎসিত স্লোগান উচ্চারিত হওয়ার বিষয়টি কোনভাবেই কাম্য নয়। আন্দোলনের নামে তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অসম্মান করছে এবং দেশ ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী স্লোগান দিয়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দাবি করা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীমহল কর্তৃক দেশ ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী স্লোগান দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানহানী ও দেশের জনগণের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করার অপচেষ্টা বন্ধ করার পাশাপাশি শিক্ষাঙ্গনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে জোরালো আহ্বান করছে।

সম্পর্কিত পোস্ট