সারা দেশে রাতের মধ্যেই বাসা-বাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়া আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা চালু করে দেওয়া হবে। তবে আপাতত ফেসবুকসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও বন্ধ থাকবে।
বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনের প্রধান সম্মেলন কক্ষে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আজকে রাত থেকে ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি বাড়ানো হবে। সারাদেশের বাসা-বাড়িতে আজকে রাত থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড চালু হবে। যা আগামীকাল পর্যন্ত আমরা পর্যবেক্ষণ করবো। তবে মোবাইল ইন্টারনেটের জন্য আগামী সোমবার (২৮ জুলাই) পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। আর আপাতত ফেসবুকসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আমরা দৈনিক ৭০-৮০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছি। দুষ্কৃতিকারীদের দেয়া আগুনে ক্ষতির কারণে ইন্টারনেট সেবা বাধাগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায় আমরা দ্রুত সম্ভব ইন্টারনেট ব্যবস্থা পুনর্বহালের জন্য কাজ করছিলাম। আজ রাত থেকে বাসাবাড়িতে পরিপূর্ণভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হবে।
সামাজিক মাধ্যমের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফেসবুক ও ইউটিউব কোনভাবেই বাংলাদেশের আইন মানছে না। এমনকি তারা তাদের নিজেদের পলিসিও মানছে না। ফেসবুক আমেরিকার কোম্পানি। তারা সেই দেশের সরকারের আইন অক্ষরে অক্ষরে পালন করে কিন্তু আমাদের দেশের পলিসি মানে না। আমাদের সাইবার স্পেস ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে হলে দেশের আইন মেনে ফেসবুককে স্যোসাল মিডিয়ায় চালাতে হবে। তারা (ফেসবুক) নিজেদের ব্যবসায়িক কথা চিন্তা করে কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের কথা চিন্তা করে না।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশীয় উদ্যোক্তারা ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবের বিকল্প হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ তৈরি করলে আমরা সহযোগিতা করবো। সহিংসতার বিষয়ে ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবকেও চিঠি দেওয়া হবে। তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
এর আগে এদিন সকালে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি মো. ইমদাদুল হক বলেন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের ৪০ শতাংশ পুনরায় ঠিক করা হয়েছে। আমরা সব লাইন চালু করার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি বেশিরভাগে গ্রাহক আজকের মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পেয়ে যাবেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৭ জুলাই) রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয় সরকার। পরদিন বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ বন্ধ করে দেওয়া হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগও। ফলে, পুরো দেশ সব ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।