দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিতে নিজেদের আপত্তি প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাজ্য।
এতে করে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) পরোয়ানা জারির পথ সুগম হয়েছে। যুক্তরাজ্যের নতুন সরকার যে ইসরায়েলের প্রতি কঠোর অবস্থান নেবে- আপত্তি তুলে নেওয়ার মাধ্যমে সেটিরও ধারণা পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট আপত্তি প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, পরোয়ানা জারির ক্ষেত্রে আইসিসির এখতিয়ার থাকা নিয়ে তারা যে আপত্তি করেছিলেন সেটি তুলে নিচ্ছেন।
গাজায় বর্বরতা চালানোয় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সহযোগী ইয়োহাভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান। এছাড়া হামাসের তিন নেতার বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারির আবেদন করেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য আপত্তি প্রত্যাহার করার অর্থ হলো আইসিসি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করতে পারে। এতে করে যদি নেতানিয়াহু অন্য কোনো দেশে যান তাহলে তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন।
গত মে মাসে সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আইসিসির প্রসিকিউটর করিম খানের সমালোচনা করেন এবং জানান আদালতের এখতিয়ার নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানাবেন তিনি।
ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র কেউই আইসিসির সদস্য নয়। তবে যুক্তরাজ্য এটির অংশ। ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যুক্তরাজ্যের উপর চাপ দিচ্ছিল তারা যেন আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ক্ষেত্রে আপত্তি অব্যাহত রাখে। কিন্তু নতুন প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টার্মার চাপ উপেক্ষা করে আপত্তি তুলে নিয়েছেন।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান