আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, দীর্ঘদিন পরও জামায়াত-শিবির তাদের অতীতের বীভৎসতা, সহিংসতা, পশ্চাৎমুখী থেকে তারা সরে আসেনি। তারা দেশপ্রেম নয়; হত্যা, খুন, জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। তাদের এই চরিত্র এখনো চলমান। তাই জামায়াত-শিবির চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে আসলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তাদেরকে মোকাবেলা করবো। কারণ জনগণ শান্তির পক্ষে, জ্বালাও-পোড়াও এর পক্ষে নয়।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে শোকাবহ আগস্ট স্মরণে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের শোক র্যালি শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। শোক র্যালিটি নগরীর কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বের করা হয়। র্যালিটি মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
এসময় মেয়র লিটন বলেন, ১৯৭১ সালে তাদের পরাজয়ের পর থেকেই জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের দাবি ছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্মম মৃত্যুর পর খুনি চক্রের মূল পুরোধা জিয়াউর রহমান, তার সঙ্গে খন্দকার মোস্তাক গং, তারা সকলে মিলে আবারও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করে।
গোলাম আজমকে দেশে ফেরত আনে, জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতি করার অনুমতি দেয়, তারাই পথটি সুগম করে দেয়। দীর্ঘদিন পরও জামায়াত-শিবির তাদের অতীতের বীভৎসতা, সহিংসতা থেকে তারা সরে আসেনি। তারা হত্যা, খুন, জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতিতে বিশ্বাস করে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢুকে তারা আবারও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, পরিকল্পিতভাবে আমাদের গর্বের ও অহংকারের স্থাপনাসমূহ ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়েছে। তারা গণভবনসহ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বাড়িঘরগুলোকে টার্গেট করেছিল। সেই অপশক্তিকে আমরা এবারো ৭১ এর মতো পরাজিত করতে পেরেছি।
অতীতেও যেকোনো দুঃসময়ে আমাদের নেতাকর্মীরা এক আহ্বানে রাজপথে চলে এসেছে। আমরা এটি বারবার প্রমাণ দিয়েছি। জামায়াত-শিবির চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে আসলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তাদেরকে মোকাবেলা করবো।
শোক র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, নাঈমুল হুদা রানা, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুসাব্বিরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, সদস্য শামসুজ্জামান আওয়াল।
আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, মহানগর যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান খান মনির, সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন বাবু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহানগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজসহ সকল থানা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।