নোবেলজয়ী গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হচ্ছেন। তিনি বুধবার দিবাগত রাতে অথবা বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা ফেরার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকলকে নিয়োগ দেয়া হবে। বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক এবং অধ্যাপকদের সমন্বয়ে একটি দল মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিনসহ তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২ টার পর বৈঠক শেষে সমন্বয়ক নাহিদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যলযের অধ্যাপক আসিফ নজরুলসহ অন্য সমন্বয়কেরা উপস্থিত ছিলেন।
নাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতি ও তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। ড মুহম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে আমরা প্রস্তাব করলে রাষ্ট্রপতি এবং তিন বাহিনীর প্রধান মেনে নিয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকি সদস্যদের জন্য আমরা ১০ থেকে ১৫ জনের একটি তালিকা প্রস্তাব করেছি। এই তালিকায় সকল শ্রেনীর মানুষের প্রতিনিধিরা রয়েছেন, তাদের নাম চূড়ান্ত হওয়ার আগে প্রকাশ করব না।
ড. মুহম্মদ ইউনূস শারীরিক একটি মাইনর অপারেশনের জন্য দেশের বাইরে আছেন। তিনি বুধবার দিবাগত রাতে অথবা বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা ফিরবেন। তিনি ফিরলে আমাদের প্রস্তাবিত তালিকা থেকে বাকি সদস্যদের বাছাই করবেন। আমাদের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতি এবং তিন বাহিনীর প্রধান একমত হয়েছেন যে খুব দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আমরা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে সরকার গঠন করতে যাচ্ছি। এই সরকারের গঠন বিষয়ে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে জানাবেন।
কত সময়ের মধ্যে এই সরকার গঠিত হবে? জানতে চাইলে নাহিদ বলেন, খুব দ্রুত। আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাশা করছি। নাহিদ আরো বলেন, এই সময়ে সবার কাছে শান্ত এবং সংযম থাকার অনুরোধ করছি। খুব দ্রুত আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। এজন্য সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। নাশকতা এবং লুটপাট বন্ধে ছাত্র জনতাকে পাহারা দিতে হবে। আমরা রক্তপাত চাইনা, আমরা একটি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ চাই।