রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল সাতটার দিকে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি সকাল সাতটার দিকে ফুল দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু দিতে পারিনি। খুবই ভালো লেগেছে যে দু-একজন সালাম দিয়ে বলেছে, আপনি ফিরে যান। আমি গাড়ির ভেতরে ছিলাম। কয়েকজন ঢিল ছুড়েছে। লাঠি দিয়ে গাড়ি ভেঙেছে। তারপর আমি চলে এসেছি।
উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে তিনি বলেন, যখন কোনো অন্যায় কাজ বেশি হয়, তখন দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। ছাত্ররা যে বিজয় অর্জন করেছে, সেটি ঐতিহাসিক বিজয়। এটাকে ধরে রাখতে হলে সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। এসময় দ্রুত পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সরকারি ছুটি এবং জাতীয় শোক দিবস এক নয় উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, সরকার বদল হলে ছুটি বাতিল হতে পারে। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার প্রধানতম ভুল ছিল ১৬ বছর রাষ্ট্র চালিয়েছে কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে দেশের বানাতে পারেনি। শুধু আওয়ামী লীগের বানিয়েছে। বঙ্গবন্ধু কোনো দলের, মতের, গোষ্ঠীর, ব্যক্তির বা পরিবারের হতে পারেন না। তারা মারাত্মক ভুল করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি এত বছর যাবৎ আওয়ামী লীগের দ্বারা নির্যাতিত। তারপরও এই আন্দোলনকারীরা যদি আমাকে তাদের শত্রুভাবে, তাহলে এটা তো আমার জন্যও দুর্ভাগ্যজনক। তারপরও বলব, দেশের মানুষের যদি স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়, জানমাল, নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়, সেটিও আমার জন্য গৌরবের।
গত ১৫-১৬ বছর আওয়ামী লীগও গায়ের জোরে চলেছে উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, এখনো চর দখলের মতো হচ্ছে। এসব করলে ছাত্ররা জীবন দিয়ে যে সফলতা এনেছে, সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কেউ মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে স্বীকার করলে তাঁকে স্বীকার করতে দেওয়া উচিত বলেও মনে করেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।