বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম বলেছেন, নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, একই সাথে দেশের বিভিন্ন থানা/উপজেলা, পৌরসভা/ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে রাতদিন পাহারা বসিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
রবিউল আলম সর্তক করে বলেন, যারাই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হবেন, তাদের বিরুদ্ধেই দল কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর বিভিন্ন পদযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পদযাত্রায় যোগ দেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন।
শেখ রবিউল আলম বলেন, দলের নেতাকর্মীদের বিষয়ে রয়েছে আরও কঠোর সতর্কবার্তা। কারও ন্যূনতম সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন দল ইতোমধ্যেই শুরু করেছে, যা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, পতন হওয়া স্বৈরাচার ও তার দোসররা পরিকল্পিতভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বিজয়ী ছাত্র-জনতার ওপর প্রতিশোধের নীল-নকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। জনরোষে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নাগরিকদের সম্পদ ও ধর্মীয় উপাসনালয়কে বিশেষভাবে টার্গেট করেছে।
শেখ রবিউল আলম বলেন, পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লক্ষ্যে সমাজকে বিভক্ত করাই এ মুহূর্তে তাদের ষড়যন্ত্র। তবে বিএনপি এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে। ইতোমধ্যেই সাধ্যমতো সব পদক্ষেপ দলের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, দলের নাম ব্যবহার করে কেউ যদি এ ধরনের অপতৎপরতায় জড়িয়ে পড়ে, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা নেওয়া অব্যাহত থাকবে।
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব, ধানমন্ডি ৭ নাম্বার রোড ও ৮ নাম্বার রোড, শুক্রাবাদ, কলাবাগান, ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার রোড এবং ধানমন্ডি ২৭ রোড হয়ে শংকর বাসস্ট্যান্ডে কর্মসূচি শেষ হয়।
এ সময় ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট ও হাজারীবাগ থানা বিএনপি এবং অঙ্গ-সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা অংশ নেন।