সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনা জন্ম না নিলে আমরা গণতন্ত্র পেতাম না: শেখ পরশ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম না নিলে আমরা আজ একটা মানচিত্র পেতাম না, একটা পতাকা পেতাম না, জাতীয় সংগীত পেতাম না; শেখ হাসিনা জন্ম না নিলে আমরা গণতন্ত্র পেতাম না, সামাজিক ন্যায়বিচার পেতাম না, অর্থনৈতিক মুক্তি পেতাম না, ভোট ও ভাতের অধিকার পেতাম না এবং একটা মর্যাদাশীল দেশ পেতাম না।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১) বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দলকে সুসংগঠিত করা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা এবং ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার করার সংগ্রামের নেমেছিলেন। সকল দুঃখ-কষ্ট বুকে নিয়ে রাত-দিন সংগঠনের পিছনে সময় দিতেন। দলকে সুসংগঠিত করার জন্য তিনি সমগ্র দেশ সফর করে বেরিয়েছেন।

সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ১৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ।

সভাপতি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন,

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য এবং জাতির পিতার হত্যার বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে কঠোর পরিশ্রম আর সংগ্রাম করতে হয়েছে। পুড়ে পুড়ে খাটি হয়েছেন তিনি। তার জীবনের সংগ্রাম এবং স্বজন হারানোর অভিজ্ঞতা তাকে শুধু একজন ত্যাগী জননেত্রী হিসেবেই সৃষ্টি করেনি, বিশ্বের একজন অন্যতম সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবেও তিনি প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে বিএনপি-জামাত এদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। তারা যুদ্ধাপরাধী এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে ত্রিশ লক্ষ শহীদকে অপমান করেছিল।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বিএনপি-জামাতের সকল অপশক্তিকে রাজপথে প্রতিহত করে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি জোদ্দার, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সরোয়ার হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শামসুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মুকিত চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এড. মুক্তা আক্তার প্রমুখ।

সম্পর্কিত পোস্ট