- চাঁদপুর প্রতিনিধি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হবে। একই সঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২) দুপুরে চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারটি চাঁদপুরবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনন্য উপহার। তরুণ উদ্যোক্তারা আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে যেন ব্যাপক পরিসরে কাজ করতে পারেন, সে লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাইটেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রতিযোগিতা মোকাবেলায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইওটি, রোবোটিক্স, সাইবার সিকিউরিটিসহ উচ্চপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর এবং স্পেশালাইজড ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে বলে।
এ সময় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল এমপি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, প্রতিযোগিতার এই যুগে আমাদের তরুণদের টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নাই। সরকার এজন্যই একটি প্রযুক্তিনির্ভর জাতি গড়ে তুলতে কাজ করে চলেছে। আমাদের রফতানি খাতেও ডিজিটাল ডিভাইস অবদান রাখতে পারে। ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ থেকে ট্রেনিং নিয়ে এখানকার তরুণ-তরুণীরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে, অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. রফিকুল ইসলাম, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) একে এম আবদুল্লাহ খান, মতলব দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান বি এইচ এম কবির, মতলব দক্ষিণের ইউএনও ফাহমিদা হক প্রমুখ।
দেশের ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করছে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। যার প্রথম ধাপে ১১টি জেলার মধ্যে চাঁদপুরে আজ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলো। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এবং সেনাবহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১১টি জেলায় প্রায় ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।