সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা আরও সংকটাপন্ন: রিজভী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক

শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা আরও সংকটাপন্ন। এক দুর্বিষহ সংকট প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসছে বাংলাদেশে। দেউলিয়াত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুতগতিতে। অর্থনৈতিক চরম দুর্দশাগ্রস্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মানুষ নিরবে কেঁদেও শান্তি পাবে না।

সোমবার (১৬ মে ২০২২) রাজধানীর নয়া পল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

লিখিত বক্তব্যে রিজভী বলেন, দেশে জনগণের অবস্থা করুণ ও মর্মান্তিক। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আলোর গতিতে দৌড়াচ্ছে। গম আমদানি করা যাচ্ছে না, কারণ রফতানিকারক দেশ রফতানি বন্ধ করেছে। চালের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি এবং সয়াবিন তেল উধাও হয়ে যাওয়ার পর কয়েকদিনের মধ্যে আটা ক্রয় করা অসম্ভব হবে সাধারণ মানুষের জন্য।

তার অভিযোগ, সিন্ডিকেটের দৌরাত্মে খাদ্যপণ্যের দামের উর্ধ্বমুখী গতি থামছেই না। খাদ্যপণ্য নিয়ে সবধরনের গভীর সংকটে বাংলাদেশ।

তিনি দাবি করেন, উজানের পানি এবং বাঁধ ভেঙ্গে বাংলাদেশের এক বিস্তৃত অঞ্চলের ধান তলিয়ে গেছে। কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পুরো জাতি আকুল উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করছে।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই প্রথম টার্গেট করে সংবাদমাধ্যমকে। কারসাজি করে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেও একই পথে হাঁটছে দলটি। গত ১৩ বছরে জনপ্রিয় সংবাদপত্র, বেসরকারি টেলিভিশন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে কয়েক হাজার সাংবাদিককে বেকারত্বের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পরস্পর শত্রুপক্ষ। এটি স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে যেমন সত্য ছিল, এখনও একই অবস্থা বিরাজমান। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ থাকলে সংবাদপত্র থাকে না। আর সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকলে আওয়ামী লীগ থাকে না।

রিজভী দাবি করেন, দেশে বর্তমানে রেডিও-টিভি কিংবা সংবাদপত্র স্রেফ ‌‌‌‘নিশিরাতের সরকার’ এর প্রেস উইংয়ে পরিণত করার যাবতীয় কার্যক্রম চলে। শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষুর কাছে গণমাধ্যমকে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। গতকাল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও (ইইউ) বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, নিজের আত্মসম্মানে জাগ্রত হয়ে জাতি সবসময় চিরসজাগ থেকেছে, আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধেও এদেশের মানুষ নিজেদের জীবন-জীবিকা রক্ষার প্রয়োজনে রাজপথে ধেয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আওয়ামী সরকারের জন্য প্রলয়-দিন ঘনিয়ে এসেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট