দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। এরমধ্যে ভোটার রয়েছে ১২ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫০ জন। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার চার ভাগের তিনভাগই ভোটাধিকার প্রয়োগের উপযোগী। নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
রোববার (২১ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে ভোটার তালিকা হালনাগাদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর।
প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ২০ লাখ ৯০ হাজার ১৩৭ জন আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৯ জন এবং হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৯২৪ জন।
অন্যদিকে গত বছরের তুলনায় এ বছর ভোটার বেড়েছে ২০ লাখ ৮৬ হাজার ১৬১ জন। ইসির তথ্যানুযায়ী গত বছরের ২ মার্চ দেশের মোট ভোটার ছিল ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছিল ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন, নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন এবং হিজড়া ভোটার ছিল ৮৩৭ জন।
ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী প্রতি বছর ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাজ থাকায় ২ তারিখে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি কমিশন। প্রকাশিত খসড়া তালিকা দেশের প্রতিটি উপজেলা ও থানা নির্বাচন কার্যালয়ে রাখা হবে।
খসড়া তালিকায় বিদেশি ভোটার, মৃত ভোটার, জাল ভোটারের উপস্থিতির বিরুদ্ধে আপত্তি জানাতে পারবেন নাগরিকরা। আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। এ তালিকা ধরেই হবে আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে চূড়ান্ত জনসংখ্যা রয়েছে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। গত বছরের ২৮ নভেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির কার্যালয়ে আয়োজিত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে গ্রামে বসবাস করেন ১১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৪ জন। আর শহরে বাস করেন ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার ১০৭ জন। সেখানে আরও বলা হয়, ২০১১ সালে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৯৭৬ জন করে বসবাস করলেও ২০২২ সালে এসে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১ হাজার ১১৯ জন করে বসবাস করছেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম হুমায়ুন কবীর সময়ের আলোকে বলেন, খসড়া তালিকায় আমাদের পূর্বের ভোটার ছিল তার সঙ্গে নতুন ভোটার যোগ হয়েছে ২০ লাখ ৮৬ হাজার ১৬১ জন। এখানে কিছু ভোটার ছিল যারা ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হয়েছিল। বাকিরা স্বেচ্ছায় এসে ভোটার হয়েছে।
এ ছাড়া কিছুসংখ্যক ভোটারের তথ্য আমরা আগের হালনাগাদে নিয়ে রেখেছিলাম-তারাও এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে। আমরা জাতীয় নির্বাচনের জন্য এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার করতে পারিনি। এ তালিকায় ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যারা যোগ্য ছিল তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরপর যোগ্য কেউ থাকলে তারা ১ জানুয়ারির মধ্যে পড়ে না। তারা আবার পরের হালনাগাদে গিয়ে কাউন্ট হবে।
আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।