সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি প্রকল্প শীর্ষক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট’র (USAID) আর্থিক সহযোগিতায় দ্যা কার্টার সেন্টার এবং তথ্য কমিশন বাংলাদেশের আয়োজনে “বাংলাদেশে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি প্রকল্প” শীর্ষক কর্মসূচির নতুন প্রকল্প পরিচিতি ও অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে আগারগাঁও এর তথ্য কমিশন বাংলাদেশ’র সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং তথ্য অধিকার আইনের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তিতে নারীদের অধিকতর সক্ষম করে তোলার পাশাপাশি, জাতীয় ও কর্ম এলাকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহকে কার্যকর করার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভূমিকা রাখছে।

মানবিক সম্ভাবনা, বিশেষ করে প্রান্তিক নারীদের সম্ভাবনকে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯-কে সম্পূর্ণরুপে কাজে লাগানোর জন্য প্রকল্পটি ২০২৮ সালের মধ্যে ১০টি জেলায় বাস্তবায়িত হবে বলে উল্লেখ করা হয় সভায়।

প্রধান অতিথি প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক বলেন, আমাদের বর্তমান অবস্থা বুঝতে হবে। যদিও অগ্রগতি হয়েছে, বাংলাদেশের অনেক নারী এখনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।  এটি কেবল সুবিধার বিষয় নয়, এটি অর্থনৈতিক সুযোগ, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা এবং শেষ পযন্ত ক্ষমতায়ন সর্ম্পকে।

তথ্য আমাদের সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনিমার্ণে সকলবে ভূমিকা রাখতে হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে তথ্য অধিকার আইনের সুফল দোড় গোড়ায় পৌছানোর আহবান জানান।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বিদ্যমান আইনকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।

অনলাইনে যুক্ত হয়ে  দ্যা কার্টার সেন্টারের রুল অব ল প্রোগ্রামের অন্তবর্তীকালীন পরিচালক হিলারি ফোর্ডেন বলেন “দ্য কার্টার সেন্টার ইউএসএআইডি এর সহায়তার দীর্ঘদিন যাবত অত্যন্ত নিবিষ্টতার সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আগামী দিনগুলোতেও এই সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহের অভাবে গণতান্ত্রিক শাসনের মৌলিক দিকগুলোকে বাধাগ্রস্থ করে তুলে। এ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশের পাশাপাশি সরকারগুলিকে ক্রমাগত মানিয়ে নিতে হবে, যাতে করে জনসাধারণের কাছে তথ্য সরবরাহ করে এবং অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত হয়।

তিনি USAID সহযোগীতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আগামী বছর গুলোতে একই সাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্য কমিশন বাংলাদেশ’র প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন USAID মিশন ডাইরেক্টর রিড অ্যাশলেম্যান।

ইউএসএআইডি-এর মিশন ডিরেক্টর রিড জে এশলিম্যান প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে মানুষের জীবনমানের অগ্রগতিতে সকলের দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।

প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘এটিকে একটি যাত্রা হিসাবে স্বীকার করে আমাদের একসাথে চলতে হবে, ইউএসএআইডি এবং দ্য কার্টার সেন্টার ও চমৎকার অংশীদার প্রতিষ্ঠানের সাথে থাকতে পেরে গর্বিত কারণ তারা রাজশাহী, সাতক্ষীরা, খাগড়াছড়ি এবং সিলেটসহ ১০টি জেলায় তথ্যে নারীদের প্রবেশাধিকার বাড়াতে কাজ করছে।’

প্রকল্প অবহিতকরণ সভার শুরুতে সুমনা সুলতানা মাহমুদ, চিফ অব পার্টি প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ অংশগ্রহণকারীদের সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি প্রারম্ভিক বক্তব্যেক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, সংখ্যালঘু, সমাজের অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই কর্মসূচির গুরুত্ব ও ভূমিকা তুলে ধরেন।

সম্পর্কিত পোস্ট