সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর: ফখরুল

পার্বত্য চট্টগ্রামে বান্দরবানের ঘটনা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কত ভঙ্গুর তা প্রকাশ পেয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যখন কোনো কিছু করতে পারে না, বের করতে পারে না তখন দোষ চাপাতে হয় তখন জঙ্গি খুঁজে বের করে। এই ঘটনা প্রমাণ করেছে যে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কত ভঙ্গুর।
রোববার (৭ এপ্রিল) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ সীমান্ত ভয়াবহভাবে আক্রান্ত, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। গত দুই-তিন দিনে পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাংক লুট হয়েছে, থানা আক্রমন হয়েছে… কি দুর্ভাগ্য আমাদের এখনও পর্যন্ত আমাদের সরকার বলতে পারছেন না যে, কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। অনেকে বলেছেন যে, মিয়ানমারের দিকে কট্টর সংগঠন, আবার অনেক বলছেন, কেউ কেউ বিরোধী দলের দিকে ইঙ্গিত করে যে জঙ্গিরা এর সঙ্গে জড়িত।
সরকার ভারতের সাথে পানি সমস্যার সমাধান করতে পারেনি, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে পারেনি, মানুষের কর্মসংস্থান করতে পারেনি উল্লেখ করে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সব দিক দিয়ে ব্যর্থ। এরা রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে, এরা জনগনকে পথ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ক্ষমতাসীন দলের ছা্ত্র সংগঠনের সন্ত্রাসের কবলে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনি চিন্তা করে দেখুন আজকে এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নাই যে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। একটা মাত্র বাকি আছে বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট সেটা ওপরে তারা হিংস্র ধারণ করেছে। আমরা ছাত্র রাজনীতির বিরোধী নই। আমরা ছাত্র রাজনীতি করে এসেছি; বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার আগে ভাষা আন্দোলনে সব কিছুতে ছাত্ররা করেছে।কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে যে ভয়াবহ সন্ত্রাসের রাজত্ব তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সৃষ্টি করেছে ছাত্রলীগ হত্যা-খুন সব কিছু তারা করে চলেছে।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) এর উদ্যোগে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া মাহফিল এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন নিহত নেতা-কর্মীদের পরিবারের ঈদ উপহার প্রদান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
এ্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশরাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আনহ আখতার হোসেন এবং এ্যাবের মহাসচিব প্রকৌশলী হাছিন আহমেদ, এ্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা জামাল সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিভিন্ন সময়ে নিহত ৪০ নেতা-কর্মী পরিবারের সদস্যদের হাতে তারেক রহমানের ঈদ উপহার তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব।

সম্পর্কিত পোস্ট