অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১১টি মোবাইল, ৪টি হাতকড়া, জব্দকৃত মালামাল ও নৌ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল লুটপাটের পর মারধর করে নৌপুলিশের ওসি-এসআইসহ ৬ পুলিশ সদস্যকে চেলা নদীতে ফেলে দিয়েছে বালু উত্তোলনের ইজারাদাররা। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রোববার (৪ জুলাই ২০২১) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের সামনে চেলা নদীতে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মজুর আলম, এসআই হাবিবুর রহমান, এএসআই সবুজ হোসেন, কনস্টেবল সাব্বির আহমদ, শাহ জামাল ও সৌরভ কুমার দেব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যান্ত্রিক মেশিন দিয়ে চেলা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ বোমা মেশিন আটক করে নৌ পুলিশ। আটককৃত মালামাল জব্দকৃত মালের সিজারলিস করায় সময় ইজারাদার হাজী বুলবুল ও আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে নৌ পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১১টি মোবাইল ফোন, ৪টি হাতকড়া জব্দকৃত মালামাল ও নৌ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল লুটপাট করে নিয়েছেন বলে নৌ পুলিশ অভিযোগ করেন।
তারা হামলা চালিয়ে নৌ পুলিশের ওসি মজুর আলমসহ ৬ নৌপুলিশকে মারপিট করে ও নৌকা থেকে সুরমা নদীতে ফেলে দেয় ইজারাদাররা। ওসি মজুর আলমসহ ৬ জনকে চেলা নদী থেকে আহত অবস্থায় জনতা উদ্ধার করে নিয়ামতপুর গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য আনা মিয়ার বাড়িতে নিয়ে তাদেরকে ইজারাদারদের হাত থেকে রক্ষা করেন। পরে তাদেরকে এলাকাবাসীর সহায়তায় ছাতক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে ইজারাদারদের সঙ্গে একাধিক মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তটি চলছে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে নৌ পুলিশ এসপি চম্পা ইয়ামিন আহতদের দেখতে ছাতক হাসপাতালে আসেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, অপরাধী যে হোক তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে।
এ হামলার ঘটনার খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম আহতদের দেখতে আসেন। এ সময় হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং লুটকৃত মালমাল উদ্ধারের নির্দেশ দেন। পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।