- চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল লঞ্চঘাট থেকে উদ্ধার হওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন নারায়ণগঞ্জের কিশোরী সংবাদকর্মীদের সহায়তায় ফিরে পেল স্বজনদের।
ঈদের পরদিন মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল লঞ্চঘাট থেকে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদ মানসিক ভারসাম্যহীন ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পরপরই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে বার্তা প্রেরণ করেন।
শুক্রবার (৩০ জুলাই ২০২১) দুপুরে স্বজনদের হাতে তুলে দেয়া হয় ওই কিশোরীকে। মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীর নাম নূর নাহার (২২)। নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া এলাকার শাহজাহানের মেয়ে।
ষাটনল ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান একেএম শরীফ উল্লাহ সরকার জানান, ষাটনল লঞ্চঘাট এলাকায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই মেয়েটিকে দেখতে পায় স্থানীয় এক কর্মী। এ সময় তার পরিচয় জিজ্ঞেস করলেও পরিচয় জানা যায়নি। তখন বুঝতে পারেন মেয়েটির স্মৃতিভ্রম হয়েছে। কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছে।
তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে ওই দিনই গ্রামপুলিশের সহায়তায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে কথা বলে গ্রামপুলিশের নিরাপত্তা হেফাজতে নেন। এরপর বিভিন্ন স্থানে মেসেজ দেয়ার পাশাপাশি মেয়েটির সন্ধান চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।
মেয়েটি জানান, তার নাম নূর নাহার। নারায়ণগঞ্জে নিয়ে গেলে সে বাসায় যেতে পারবে। এরপর নারায়ণগঞ্জের জুয়েল নামে এক সংবাদকর্মীর সহায়তায় ওই কিশোরীর স্বজনের খোঁজ পাওয়া যায়। মেয়েটির স্বজনরা ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে তাকে স্বজনদের কাছে তুলে দেন মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজী শরিফুল হাসান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল, সেনা কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান, ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান একেএম শরীফ উল্লাহ সরকার, মতলব উত্তর প্রেসক্লাবের সভাপতি বোরহান উদ্দিন ডালিম, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির প্রমুখ।
মেয়েটির বাবা শাহজাহান জানান, ঈদের দুদিন আগে মানসিক ভারসাম্যহীন নূর নাহার বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি। মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসন ও ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তাকে উদ্ধার না করলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারতো।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজী শরিফুল হাসান জানান, তিনি মানবিক কারণেই মেয়েটিকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। লঞ্চঘাটে সে খারাপ লোকের খপ্পড়ে পড়লে তার বড় ক্ষতি পারতো। মেয়েটির স্বজনদের কাছে তাকে তুলে দিতে পেরে তিনিও মানসিকভাবে তৃপ্ত।