মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

একুশের প্রথম প্রহরে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

  • বিশেষ প্রতিনিধি

আজ ২১ ফেব্রুয়ারি ৭০ বছর পূরণ হলো মহান ভাষা আন্দোলনের। দিনটি ‘শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে উদযাপন হয়ে আসছে।

মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জাতিসত্তা, স্বকীয়তা আর সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার আন্দোলনের অবিস্মরণীয় দিনটি বাঙালির জীবনে ফিরে এসেছে আবার।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২) প্রথম প্রহরে এ উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সালাউদ্দিন ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান।

রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে মেজর জেনারেল সালাউদ্দিন ইসলাম ও তার পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ সময় নেপথ্যে বাজছিল অমর একুশের কালজয়ী গান, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি…’।

ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

জতীয় সংসদের সরকারি দল আওয়ামী লীগ, বিরোধীদল জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

তিন বাহিনীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিদেশি কূটনীতিকরাও।

করোনা মহামারির কারণে এবারো শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন পর্বে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন প্রতিনিধি, ব্যক্তি পর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারছেন।

শহীদ মিনারের সব প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন ও লিক্যুইড সাবান রাখা হয়েছে। মাস্ক পরা ছাড়া কাউকে শহীদ মিনার চত্ত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পলাশী মোড় থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় তিন ফুট পরপর চিহ্ন আছে। এই চিহ্ন অনুসরণ করে সবাই পর্যায়ক্রমে শহীদ মিনারে যাচ্ছেন ও ফুল দিচ্ছেন।

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো দিবসটি পালন করবে।

রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে ফাতেহা পাঠ ও কোরআনখানির আয়োজনসহ দেশের সব উপাসনালয়ে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট