- সিলেট ব্যুরো
উৎপাদন কম হওয়ার কারণ দেখিয়ে গম রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যে ভারতের আচমকা এ সিদ্ধান্তে বিশ্ববাজারে আটার দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের দাবি, প্রতিবেশী দেশটি সরকারিভাবে গম রফতানি বন্ধ করেনি, বেসরকারি পর্যায়ে রফতানি বন্ধ করেছে। হয়তো এক মাস বা ১৫ দিন পর সেটি তারা তুলে নেবে। তাই আমাদের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
রোববার (১৫ মে ২০২২) দুপুরে সিলেটে খাদ্যগুদাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, গত এক বছর থেকে আমরা বিদেশ থেকে কোনো চাল আমদানি করিনি। আমাদের কৃষকদের উৎপাদিত ধান দিয়েই চালের চাহিদা মিটছে। তবে গম আমাদের দেশে হয় না, বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। গম আমদানি করা হতো ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে। কিন্তু এ দুদেশের যুদ্ধের পর আমরা পার্শ্বর্তী দেশ ভারত থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করেছি। পরবর্তী সময়ে যা দরকার তাও ভারত থেকে আমদানি করা হবে। তাদের উৎপাদিত গম তাদেরকে তো বিক্রি করতেই হবে।
সিলেট বিভাগীয় শহরে আধুনিক ‘রাইস সাইলো’ স্থাপন করা হবে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এজন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। জায়গা পাওয়া গেলেই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শুরু হবে এর কাজ। সিলেটে ‘রাইস সাইলো’ হলে ধানসহ কয়েক হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ করে রাখা যাবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জে সম্প্রতি বোরো ফসলের কিছু ক্ষয়-ক্ষতি হলেও চাষাবাদ হয়েছে অনেক বেশি। এ থেকে আমাদের ধান-চালের শক্তিশালী একটি মজুদ গড়ে উঠবে। এ ছাড়া গত আউশ ও আমন ধানেরও আমাদের প্রচুর মজুদ রয়েছে এবং আগামী আউশ ফসলও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই দেশে কোনোভাবেই খাদ্যসঙ্কট তৈরি হবে না।
কৃষকের ধানের সরকারি দামের বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার বিভিন্নভাবে ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের সাহায্য করে এবং তাদের কাছ থেকে ঘোষণা দিয়ে দাম নির্ধারণ করে ধান কেনে। কৃষকরা যাতে বাজারে অন্যের কাছে ধান বিক্রি করে না ঠকে তাই এমনটি করা হয়। এবার ধানের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তা আর বাড়ানো হবে না।
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী একটি ফ্লাইটে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেন। সেখান থেকে সিলেট সদর খাদ্যগুদাম পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন শেষে সিলেট সার্কিট হাউসে কিছু সময় অবস্থান করে মন্ত্রী সুনামগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা করেন।