শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর আয় ৩০০ কোটি টাকা

পিস বাংলা By পিস বাংলা মে১৬,২০২২
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ গত তিন বছরে আয়ের ধারায় রয়েছে। ইতোমধ্যে কোম্পানির মোট আয় ৩০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)। তারা বলছে, বর্তমানে কোম্পানির মাসিক আয় প্রায় ১০ কোটি টাকা, যার প্রায় পুরোটাই দেশীয় বাজার থেকে অর্জিত।

সোমবার (১৬ মে ২০২২) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিএসসিএল। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ক্রমান্বয়ে এই আয় আরও বাড়বে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ মোট ৩৮টি টিভি চ্যানেল এবং দেশের একমাত্র ডিটিএইচ অপারেটর ‘আকাশ’ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর মাধ্যমে সম্প্রচার করে।

দেশের দুটি স্বনামধন্য ব্যাংক ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করে তাদের এটিএম সেবা দেওয়া শুরু করেছে। আরও অনেকগুলো সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যারা অদূর ভবিষ্যতে চুক্তি স্বাক্ষর সাপেক্ষে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সেবার আওতায় আসবে। সম্প্রতি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ বিএসসিএলের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এর আওতায় বাংলাদেশে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী এবং ডিজিএফআই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সেবার আওতায় আসবে। বাহিনীগুলো সম্মিলিতভাবে তিনটি ট্রান্সপারের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে বিএসসিএল ৩১টি দুর্গম ও প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চলের ১১২টি স্থানে টেলিযোগাযোগ সেবা দিচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার সুবিধাবঞ্চিত জনগণকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সেবার আওতায় আনার কার্যক্রম চলমান আছে। এ ছাড়াও জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সেবা নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে এবং অনেকের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

পর্যায়ক্রমে এই ব্যবসায়িক আলোচনা সফল হলে দেশীয় বাজারেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর বৃহৎ গ্রাহক গোষ্ঠী তৈরি হবে এবং এর থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয়ও সম্ভব হবে। চাহিদার তুলনায় বৈশ্বিক বাজারে স্যাটেলাইট ব্যান্ডউইথের সরবরাহ বেশি থাকায় এবং কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিদেশের বাজারে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর বিপণন কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

বর্তমানে মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি ঘটায় কোম্পানি আন্তর্জাতিক বাজারে বিপণন কার্যক্রম নব উদ্যমে শুরু করেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কোম্পানি দেশীয় বাজার উন্নয়নে মনোনিবেশ করেছে এবং স্যাটেলাইট নির্ভর নিত্যনতুন সেবার প্রসারে কাজ করছে।

 

সম্পর্কিত পোস্ট