দলীয় প্রতীক ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বাজিমাত করেছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা। সব প্রতিবন্ধকতা ছাপিয়ে ভোটের মাঠে ঠিকই জয়ী হলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘোষিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। যাদের প্রায় সবাই পিটিআইয়ের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে লড়েছেন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ২৫০ আসনের প্রাথমিক ফলাফলে ইমরানের দল পিটিআই–সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন। আসনসংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএলএন। তৃতীয় স্থানে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৬৫টি আসনের মধ্যে ২৫০ আসনের ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৯ আসনে জয় পেয়েছেন পিটিআই–সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পিএমএল–এন ৭১ আসনে, পিপিপি ৫৩ ও এমকিউএম ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১০টি আসন।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৫ আসনে (একটি স্থগিত) ভোট গ্রহণ হয় বৃহস্পতিবার। কোনো দলের সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪ আসন।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। এ ছাড়া বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।