চাঁদপুরের কচুয়ায় অটোচালক মো. সাব্বির হোসেনের হত্যাকাণ্ডে তিন গ্রুপে ৯ জন জরিত। প্রথম গ্রুপ অটোরিকশা ভাড়া করে, দ্বিতীয় গ্রুপটি পাহারায় থাকে আর তৃতীয় গ্রুপটি নির্দিষ্ট স্থানে যাবার পর হাত-পা বেঁধে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে যায়।
বৃহস্পিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) অটোচালক মো. সাব্বির হোসেন হত্যাকাণ্ডে জরতি ৭ জনকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
নিহত অটোরিকশাচালক সাব্বির কচুয়া উপজেলার পালখাল ইউনিয়নের ভূঁইয়ারা গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তার কৃতরা হলেন- চাঁদপুর সদরের তরপুরচন্ডী এলাকার মো. জহির বাবলা (৪৫), মতলব দক্ষিণ উপজেলার মো. আনিছুর রহমান (২৫), মো. রাজু বেপারী (২৫), মো. রাকিব (২৩) ও মো. আমির হোসেন হানজালা (২৫), নরসিংদী জেলার পলাশ থানার চর সিন্দুরের কবির হোসেন (৩৫) এবং দিনাজপুর জেলার কোতয়াালী থানার মতুল্লাপুর এলাকার হামিদুর রহমান (৪১)।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন সাব্বির। রাতে বাড়ি না ফিরলে পরদিন ২৫ জানুয়ারি তার মা জাহানারা বেগম থানায় জিডি করেন। ওই দিন সকাল সাড়ে ১১টায় পুলিশ স্থানীয় সংবাদের ভিত্তিতে ওই ইউনিয়েনর সেঙ্গুয়া থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সাব্বিরের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সাব্বিরের পরিবার ২৬ জানুয়ারি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, পুলিশ প্রথমে আসামি হানজালাকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত চাঁদপুর ও নারায়নগঞ্জে অভিযান চালিয়ে অন্য ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অটোরিকশার বিভিন্ন যন্ত্রাংশও পাওয়া গেছে আসামিদের কাছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু, কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।