৭ মার্চের ভাষণে যারা বিশ্বাস করে না, তারা দেশের উন্নয়ন চায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁও আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা জয় বাংলার স্লোগান চায় না, ৭ মার্চের ভাষণে যারা বিশ্বাস করে না, তারা দেশের উন্নয়ন চায় না। তাদের কেন মানুষ ভোট দেবে? জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। সংগ্রামের পথ বেয়ে রক্তের অক্ষরে লেখা হয়েছে মাতৃভাষায় কথা বলার এবং আমাদের স্বাধীনতার অধিকার।
তিনি বলেন, সশস্ত্র বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশটা স্বাধীন করা যায় কিনা সেই চেষ্টা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু এতে সফল হতে পারেননি। তখনও দেশের মানুষ রাজনৈতিকভাবে অতটা তৈরি ছিলেন না। তাই সংগঠন তৈরির জন্য মানুষের মধ্যে চেতনা গড়াই ছিল বঙ্গবন্ধুর গুরু দায়িত্ব। তখন থেকে সেই দায়িত্ব নেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৬২ সালেও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি যে সশস্ত্র বিপ্লবের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তখন তা পাকিস্তান বুঝতে পারেনি। এরপরও বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ছয় দফা পেশ করেন, তখন পাকিস্তানিরা উত্থাপনই করতে দেবে না। তাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছিল। তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন। এয়ারপোর্টে প্রথম ছয় দফার তথ্য দেন। এরপর প্রেস কনফারেন্স করেন। আওয়ামী লীগ কাউন্সিল করে, সেটা পাস করান। ৫৩ দিনে ৫২টা সভা করেছিলেন। ছয় দফার মধ্যে একদফা ছিল স্বাধীনতা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটাই আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। যে কাজটা তিনি করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাকে করতে দেওয়া হয়নি। ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। কাজেই এই দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য, দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করবার জন্য, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এখন ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।