মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

যাত্রীদের অভিযোগ শুনতে বিমান চালু করলো কল সেন্টার

যাত্রীদের অভিযোগ ও যে কোন তথ্য জানাতে কল সেন্টার চালু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
রোববার (২৪ মার্চ) কল সেন্টারের উদ্বোধন করেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম।
ব্মিান জানিয়েছে, শর্ট কোড ‘১৩৬৩৬’  নাম্বারে কল করে যাত্রীরা বিমান সম্পর্কিত তথ্য ও অভিযোগ জানাতে পারবেন। এছাড়া দেশের বাইরে থেকে  +88 096109-13636 নম্বরে ডায়াল করে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। বর্তমানে সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কল সেন্টার চালু থাকবে। পর্যায়ক্রমে ২৪ ঘণ্টা সচল থাকবে কল সেন্টার।
কুর্মিটোলায় বিমান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিমানের সিইও শফিউল আজিম বলেন, স্মার্ট কলসেন্টার, যাত্রী সেবায় আরও একটি মাইলফলক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী। বিমান প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই যাত্রী সেবা নিশ্চিতকরণের বিষয়ে ছিল বদ্ধ পরিকর।
১৯৭২ সালে বিমান প্রতিষ্ঠার পর পরই গ্রাহকদের কাছে সর্বোচ্চ সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য তৎকালীন বিটিটিবি সহযোগিতায় মতিঝিল কার্যালয়ে ‘টেলিফোন সেলস এন্ড সার্ভিস’ চালু করা হয়েছিল। যা স্বাধীন বাংলাদেশে ‘কল সেন্টার’ সেবা প্রণয়নের সাধক হিসেবে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।
শফিউল আজিম বলেন, ১৯৮৮ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মতিবিল কার্যালয়ে নিজস্ব পিএবিএক্স সিস্টেম স্থাপন করে, যার ফলে টেলিফোনের মাধ্যমে যাত্রীসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিমান আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে  যাত্রীদের  আরও নিকটে পৌঁছাতে ১৯৯৬ সালে বিমানের নব্য স্থাপিত প্রধান কার্যালয় ‘বলাকা ভবন’ এবং এয়ারপোর্টস্থ ‘প্রশাসনিক ভবনে’ দুইটি পিএবিএক্স ব্যবস্থা স্থাপন করে। এই ‘পিএবিএক্স ব্যবস্থার মাধ্যমে যাত্রীদের টিকেট এবং অন্যান্য সেবা দেয়া হয়েছে। ঐ সময়ে যেকোন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুসরনীয় ছিল। ২০১২ সালে পিএবিএক্স সিস্টেমের সাথে বিমানের রিজার্ভেশন সিস্টেম কে একিভুত করে আধুনিক কল সেন্টারের অবয়বে যাত্রী সেবা প্রদান করা শুরু হয়। ২০১৬ সালে বিমানের পিএবিএক্স ও রিজার্ভেশন সিস্টেমের সাথে ফ্লাইট ডিসপ্লে সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত করে যাত্রীদের তাৎক্ষনিক ভাবে ফ্লাইটের তথ্য প্রদানের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
২০২০ সালে সালে পিএবিএক্স এর সাথে সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যাত্রী সেবা প্রদান শুরু হয়। মোবাইলের মাধ্যমে টিকেট বিক্রয়, ফ্লাইটের তথ্য প্রদান, ডিলে মেসেজ প্রদান ইত্যাদি সেবা প্রদান করা হয়।
বিমানের পরিচালক বিপণন ও বিক্রয় (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন  বলেন, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কলসেন্টার করেছি। এটি এখন প্রথম ফেইজে আছে। আমরা দ্রুত আউটসোর্সের মাধ্যমে জনবল বাড়াবো। পৃথক স্থাপনায় কলসেন্টার স্থানান্তর সহ বিভিন্ন আধুনিক ফিচারের সংযোজনের মাধ্যমে স্মার্ট কলসেন্টারের মাধ্যমে অধিকতর যাত্রীসেবা নিশ্চিত করা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট