মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ডা. জাফরুল্লাহ বেঁচে থাকলে চিকিৎসা খাত সমৃদ্ধি হতো

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে স্মরণ করেছে তার প্রতিষ্ঠিত হাসপাতাল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। স্মরণ সভায় বক্তারা বলেছেন, ডা. জাফরুল্লাহ ছিলেন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিকল্প চিন্তার অগ্রপথিক। তিনি বেঁচে থাকলে চিকিৎসা খাত সমৃদ্ধি হতো। দেশের মানুষের উপকার হতো। তিনি বাংলাদেশের এক নতুন পরিচয় উন্মোচন করে গেছেন। এজন্য সবার হৃদয়ে উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডিস্থ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে আয়োজিত স্মরণ সভায় তারা এসব কথা বলেন। এ সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরিকে সেবা দেওয়া চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, ওয়ার্ড বয় তাকে নিয়ে আবেগঘন বর্ণনা তুলে ধরেন। তাদের বক্তব্য শুনে সভায় উপস্থিত অনেকে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। তারা বলেন, জাফরুল্লাহ স্যার আর কিছু দিনে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকলে এদেশের আর উপকার হত।
স্মরণ সভায় প্রমাণ্য চিত্রে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কর্মের বিভিন্ন ভিডিও চিত্র তুলে ধরা হয়।
বক্তারা জানান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার জীবদশায় বলেছিলেন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নামের উপর ১০ মিনিট বক্তব্য দিয়ে এই নমকরনটি বাছাই করে দিয়েছেন। ১৯৭৩ সালে গণ স্বাস্থ্যবীমার প্রচলন শুরু হয়ে আজও চলমান আছে। এর মাধ্যমে আজও মানুষ চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। অন্য এক সভায় জাফরুল্লাহ বলেছিলেন বাংলাদেশের প্রায় ৮৬ লাখ জনগণ দারিদ্রের কারণে স্বাস্থ্যের চিকিৎসা নিতে পারছেন না। অথচ সরকার তার আমলাদের পিছনে অনেক টাকা ব্যয় করছেন, যে টা অনুচিত। এই টাকা আমলাদের ক্ষেত্রে ব্যয় না করে দরিদ্র কৃষক, দিনমজুর, অসহায় মানুষকে সহায়তা করলে তারা উপকৃত হতেন।
স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারপারসন আলতাফুন্নেছা মায়া (ট্রাস্টি), ডা. আবুল কাশেম চৌধুরী (ট্রাস্টি), নারী নেত্রী শিরিন পারভীন হক (ট্রাস্টি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মনসুর মুসা, চ্যানেল ২৪ এর নির্বাহী পরিচালক তরুণ চক্রবর্তী ফিজু, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ আরও অনেক শুভানুধ্যায়ীরা। এছাড়া গণস্বাস্থ্যের চিকিৎসক, কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যকর্মী, কর্মচারীগণ সভায় অংশ নেন।

সম্পর্কিত পোস্ট