সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মোমবাতি প্রজ্বলন ও মৌন মিছিল

ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার বিচারের দাবিতে মোমবাতি প্রজ্বলন ও মৌন মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় নজরুল ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

মোমবাতি প্রজ্বলনের পর সাংবাদিকবৃন্দ দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের শাস্তির দাবি করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসলাম বেগ বলেন, তিন দিন পার হলেও এখনো এ ঘটনার বিচার হয়নি। আমরা দ্রুত শাস্তি চাই না হলে প্রশাসনকে জবাব দিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক মুখছিদুল মমিন বলেন, গত ৫ তারিখে যে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে সেখানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও তদন্ত কমিটিকে এখন পর্যন্ত নীরব দেখা যাচ্ছে। ৩/৪ দিন হয়ে গেলেও প্রশাসনকে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায়নি। যদি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দাখিল দেরি হয় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হয় তাহলে আমরা সকল সাংবাদিকরা কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নিহার সরকার অংকুর বলেন, প্রশাসনের নীরবতা এবং আশ্রয় প্রশ্রয়ই বার বার এসব ঘটতে দিচ্ছে। এর সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ৫ তারিখের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং প্রক্টরেরও দায় আছে বলে মনে করি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি রাশেদুজ্জামান রনি বলেন, এ ঘটনার বিচার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। কোনরূপ ছলচাতুরী করা হলে সারা বাংলাদেশের সাংবাদিক সংগঠনের সাথে সমন্বয় করে কঠোর আন্দোলন করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলের একটি কক্ষে সিট দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও মারামারিতে জড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ। এতে আহত হয় একাধিক শিক্ষার্থী। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের নেতাকর্মীদের অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব। এরপর সমিতির সভাপতি মো. ফাহাদ বিন সাঈদ তাকে উদ্ধার করতে আসলে তাকেও জয়ধ্বনি মঞ্চের সামনে বেধড়ক পেটানো হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট