পিস বাংলা ডেস্ক
বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির (জিডিপি) হার চলতি অর্থবছরে কমে যাবে। মূল্যস্ফীতি থাকবে ঊর্ধ্বমুখী। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৬ শতাংশ। তবে আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির চাপ কমবে, অন্যদিকে বাড়বে প্রবৃদ্ধির হার।
বিশ্বব্যাংকের জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ আভাস দেওয়া হয়েছে। সরকার চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ করেছে ৭.৫০ শতাংশ। গত অর্থ বছরেও একই ছিল।
তবে সাময়িক হিসেবে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.৩ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যক্তি মানুষের ভোগব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এ প্রবণতা থাকবে।
প্রবৃদ্ধির জন্য রফতানি বেশ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রত্যাশা অনুযায়ী রফতানি হচ্ছে না। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনের আগে কিছু সময় অনিশ্চয়তা ছিল। এ কারণে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে প্রভাব পড়তে পারে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, উচ্চমূল্য ও মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে মুদ্রানীতির রাশ টেনে ধরা হয়। একই সঙ্গে লেনদেনের ভারসাম্যে প্রভাব পড়ে, টান পড়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। আর্থিক খাতও দুর্বল হয়ে পড়ে।
খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যায়। সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়, জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কমে দাঁড়াতে পারে ৫.৬ শতাংশ।