শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

ই-অরেঞ্জের সোনিয়াসহ মালিক পক্ষের তিনজন রিমান্ডে

পিস বাংলা By পিস বাংলা আগ২৩,২০২১
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানার মামলায় দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ শপের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৩ আগস্ট ২০২১) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে আসামিদের হাজির করা হয়। এসময় মামলার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম। অপরদিকে আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া জামিনের আবেদন নাকচ করে প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে পাঠানো অপর আসামি হলেন, ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিইও) আমান উল্লাহ।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় আমান উল্লাহকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ২৪টি ক্রেডিট কার্ড, ১৬ লাখ টাকা এবং গাড়ি জব্দ করা হয়। গত ১৭ আগস্ট সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমানে আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৭ আগস্ট ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার মো. তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ই-অরেঞ্জের পাঁচ কর্মকর্তাসহ সব মালিককে আসামি করা হয়। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন বাদী। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বারবার নোটিশ দিয়েছে। সময় চেয়েছে। কিন্তু পণ্য ও টাকা দেয়নি।
সর্বশেষ তারা গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও তা দেয়নি। এছাড়াও তারা যে বিভিন্ন আউটলেটের গিফট ভাউচার বিক্রি করেছিল, সেগুলোর টাকা আটকে রাখায় আউটলেটগুলো ভাউচারের বিপরীতে পণ্য দিচ্ছে না। এই করোনাকালীন সময়ে বাদী কষ্টার্জিত অর্থ পাচ্ছে না, বরং প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে নতুন নতুন তথ্য পান। এছাড়াও মামলা দায়ের আগ পর্যন্ত ভুক্তভোগীদের কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সম্পর্কিত পোস্ট