শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

খাদ্যের অপচয় কিভাবে রোধ করা যায় সেদিকে নজর দেবার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

পিস বাংলা By পিস বাংলা অক্টো১৬,২০২১
  • বিশেষ প্রতিনিধি

খাদ্যের অপচয় কিভাবে রোধ করা যায় সেদিকে নজর দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

শনিবার (১৬ অক্টোবর ২০২১) সকালে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১’ উদযাপনের মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বে একদিকে খাদ্যের অভাব অপর দিকে প্রচুর খাদ্যের অপচয় হয়। অনেক দেশ দুর্ভিক্ষের দিকে চলে যাচ্ছে। তাই খাদ্যের অপচয় কমাতে হবে, অপচয় যেন না হয় সে দিকে নজর দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই অপচয় যেন না হয় বরং যে খাদ্যগুলো অতিরিক্ত থাকে সেগুলো আবার পুনঃ ব্যবহার করা যায় কীভাবে সে বিষয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে। সে ধরনের ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে।’

তিনি বলেন, কৃষি জমি সংরক্ষণ করেই আমাদের উন্নয়ন করতে হবে। ১ ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। কৃষিজমি যাতে কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেদিকেও সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল্লাহর রহমতে খাবারে বাংলাদেশে আর কোন অভাব থাকবেনা। তবে গবেষণা অব্যাহত রাখতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) প্রকাশিত ‘হান্ড্রেড ইয়ার্স অব এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।

তিনি জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ধান ১০০’ অবমুক্ত করেন এবং ‘বঙ্গবন্ধু ধান ১০০’ দিয়ে নির্মিত জাতির পিতার একটি প্রতিকৃতিও উন্মোচন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে এবং আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টির নিশ্চয়তা এবং শিক্ষা- চিকিৎসাসহ মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা এবং বাংলাদেশে একটি মানুষকেও যাতে ঠিকানা বিহীন থাকতে না হয় তাই প্রতিটি গৃহহীণের জন্য আমরা ঘর তৈরী করে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়ার পাশাপাশি রাস্তাঘাট, পুল, ব্রীজের ব্যাপক উন্নয়ন করে যাচ্ছি এবং এই করোনাকালিন ও আমি আহবান জানিয়েছি, আমাদের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে।

সূত্র: বাসস

সম্পর্কিত পোস্ট