শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

বেড়েছে আদা-রসুনের দাম

পিস বাংলা By পিস বাংলা মে১০,২০২২
  • দেশকাল ২৪ডটকম

দেশীয় কৃষকদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছে সরকার। এর ফলে দেশের সব স্থলবন্দর দিয়ে গেল ৩ দিন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। আমদানি বন্ধের খবরে দাম বেড়েছে পণ্যটির। ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে এখন তা ৪০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এছাড়া দাম বেড়েছে আদা ও রসুনেরও।

মঙ্গলবার (১০ মে ২০২২) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন আমদানি বন্ধ হওয়ার কথা। ভারতীয় পেঁয়াজ না আসলে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেড়ে যাবে। তখন বাজারে ঘাটতি দেখা দিবে। এখন পেঁয়াজের আমদানি বন্ধের সংবাদেই দাম বেড়ে গেছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে।

রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে দেশি ও ভারতের পেঁয়াজ একই দামে বিক্রি হচ্ছে। ভরা মৌসুম হওয়ায় দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে পর্যাপ্ত। তারপরও ভারতের পেঁয়াজের আমদানি বন্ধের খবরে নড়েচড়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী চাঁদপুর হাউজের সত্ত্বাধিকারী আমিনুল খোকন সময়ের আলোকে বলেন, ভারতের পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। দুদিন আগেও ২৭ টাকা ছিল। ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে না বলে দাম বেড়েছে।

তিনি বলেন, দেশি পেঁয়াজেরও দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত। বৃষ্টির কারণে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ খুব কম। ২৬ থেকে ২৯ টাকা দরে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ২১ থেকে ২৫ টাকা।

এদিকে, রাজধানীর হাতিরপুল খুচরা বাজারে দুই ধরনের পেঁয়াজই প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৩০ এবং ৩৫ টাকা কেজি।

এ বাজারের দোকানি মামুন হোসেন বলেন, ঈদের আগে পাইকারিতে ২২ থেকে ২৪ টাকায় পেঁয়াজ কিনে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। গতকাল (সোমবার) পাইকারি কিনেছি ৩০ টাকা দরে, যা পরিবহন ও অন্যান্য খরচ ধরে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ আর বেশিদিন থাকবে না বাজারে। তখন ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা বাড়বে।

তিনি বলেন, ভারতের আমদানি বন্ধের খবরে পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছেন। তারা শুধু দাম বাড়ানোর জন্য অজুহাত খোঁজেন। বাজারে পর্যাপ্ত দেশি পেঁয়াজ রয়েছে। এখন ভারতের পেঁয়াজ না হলেও সংকট হবে না।

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলছেন, পেঁয়াজ আমদানির আগের ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে আইপি না পাওয়ায় কয়েকদিন ধরে আমদানি বন্ধ রয়েছে।

ভারতের পেঁয়াজ সবচেয়ে বেশি আসে হিলি স্থলবন্দর হয়ে। সেই স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে সর্বশেষ গত ৩০ এপ্রিল ৬৮ ট্রাকে এক হাজার ৯০২ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এরপর ঈদের ছুটি শুরু হয়। ছুটি শেষে গত শনিবার থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়। তবে এরপর কোনো পেঁয়াজ আসেনি।

সম্পর্কিত পোস্ট