বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেন, দেশ স্বাধীন করার জন্য আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন আমরা পূরণ করেছি। মতলব-গজারিয়া সেতু নির্মাণ করে মতলববাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করবো।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার মাঝে নদীতে সেতু নির্মাণের স্থান পরিদর্শন কালে তিনি এ কথা বলেন।
মায়া চৌধুরী বলেন, একটি সঠিক পরিকল্পনা যে কোনো কাজের অর্ধেক হয়ে যাওয়া। সবকিছু বিবেচনায় বৃহত্তর স্বার্থে চরকালিপুর থেকে কালিপুর বাজার সংযোগ সেতু হলে দাউদকান্দি ব্রিজে চাপ কমবে অন্তত ৪০ শতাংশ।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বাণিজ্য নগরীতে দেশের রপ্তানি নির্বিঘ্নে হওয়া সম্ভব হবে। এদিকে কালিপুর ষাটনল থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত টানেল হলে মোটামোটি বেড়িবাঁধেরও একটি সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্যও এটা বড় ভূমিকা রাখবে। পর্যটন এলাকার সম্ভাবনার দ্বারও উন্মোচিত হবে।
তিনি আরও বলেন, এই সেতু রাজধানীর সঙ্গে মতলব তথা চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীর দূরত্ব নিঃসন্দেহে অনেক কমাবে। জনগণ উপকৃত হবে ও সুবিধা পাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমের সহধর্মিণী ও অবিভক্ত মতলব (উত্তর-দক্ষিণ উপজেলা) এর মহিলা আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা পারভীন চৌধুরী রীনা, প্রয়াত সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর সহধর্মিণী ও চাঁদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক সুবর্ণা চৌধুরী বীণা, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ব্যারিস্টার আশফাক চৌধুরী মাহি।
এ সময় আরও উপস্তিত ছিলেন, ষাটনল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান একেএম শরীফ উল্লাহ সরকার, মেঘনা-ধনাগোধা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশন সভাপতি রাসেল ফয়েজ আহমেদ চৌধুরী শাহিন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ, সাংগঠনিক সম্পাদক সলিমুল্লাহ বারী চৌধুরী সোহেল, চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জহির রাহয়ান, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম রনি প্রমুখ।
জেলা প্রতিনিধি