শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

সরকারের নানামুখী উদ্দ্যগে শিগগিরই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে

নিজস্ব প্রতিবেদক By নিজস্ব প্রতিবেদক জানু২৭,২০২৪

বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্দ্যগে শিগগিরই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় বসে পুরো টিম নিয়ে মাঠে নেমে গেছেন। তার মন্ত্রিসভার কেউ বসে নেই। সবাই কাজে নেমেছেন। ইনশাআল্লাহ, এভাবে চললে আমরা অচিরেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিসের  ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ‘শান্তি ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় আগামী ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের সব মহানগর, জেলা ও উপজেলায় ‘শান্তি, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’ সমাবেশ করবে বলে ঘোষণা দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক। এদিন সারা দেশে কালো পতাকা মিছিলের ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর প্রতিবাদে একইদিনে দেশব্যাপী ‘শান্তি, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’ সমাবেশের ঘোষণা দিলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ৩০ জানুয়ারি জাতীয় পতাকা হাতে ‘শান্তি, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’ সমাবেশে হবে সব মহানগর, জেলা ও উপজেলায়। সেদিন আপনারা লাল–সবুজ পতাকা হাতে গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নয়ন কীভাবে হবে, সেই কথা বলবেন। সারা দেশে আমাদের নেতা-কর্মীরা পাহারায় থাকবেন।

বিএনপির  কালো পতাকা মিছিলকে ‘শোক মিছিল’ বলে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, কালো পতাকা মিছিল আরেক ভুয়া। ৩০ জানুয়ারি আবার ডাকছে, সেটাও ভুয়া। লোকজন নেই, জনগণ নেই, নেতা-কর্মীরা হতাশ। কারণ, লন্ডনে থাকা তারেক জিয়ার প্রতি কোনো আস্থা নেই। যাদের সঙ্গে জনগণ নেই, তারা ভুয়া। নির্বাচনের খেলা শেষ। এখন খেলা হবে রাজনীতির।

দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে। তার মতো জনবান্ধব সরকার আসেনি। আপনারা আস্থা হারাবেন না। আজকে বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা, এমনকি লোহিত সাগরেও যুদ্ধ চলছে। এ যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশে আছে। আমাদের বেশি টাকা দিয়ে আমদানি করতে হয়, বিক্রি করতে হয় কম দামে। ধৈর্য হারা হবেন না। শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা জনগণের সরকার। শেখ হাসিনা জনগণের সরকার। আপনাদের সংকট তার হৃদয়ে লাগে। তিনি আঘাত পান। রাত তিনটায় ফোন করে পাওয়া যায়। এমন প্রধানমন্ত্রী পাবেন আর কোথাও? কোন দেশে আছে। দুপুরের খাবার রাতে খান। কোনো কোনো দিন খায়ও না। আমি এটা বাড়িয়ে বলছি না, সত্য কথা বলছি। এমন প্রধানমন্ত্রী পাওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভাগ্যবান। আস্থা রাখুন, আস্থা হারাবেন না। বিএনপির কথায় কান দেবেন না। এরা ভুয়া, এদর সব কথা আজকে ভুয়ায় পরিণত হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, গয়েশ্বর বাবু শনিবার পল্টনে হাজির হয়েছেন। এত দিন কোথায় ছিলেন গয়েশ্বর বাবু? বলেছিলেন, অলিগলি খুঁজে পাব না। কে পালিয়েছে? ডিবি অফিসে বোয়াল মাছ খেয়ে পালিয়েছিল কারা? গয়েশ্বর বাবু অলিগলি খুঁজে পাননি।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশিদের ডেকে আনে। বিদেশিদের ভয় দেখায়। এদের কোনো দেশপ্রেমে নেই। যদি ভালোবাসা থাকতো, তাহলে দেশের জনগণ তাদেরকে নিয়ে সমাধান করবো। এরা আটলান্টিকের ওপার থেকে নিষেধাজ্ঞা আনতে চায়, ভিসানীতি আনতে চায়। শেখ হাসিনা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পান না। তিনি এ দেশের মানুষ ছাড়া কাউকে পরোয়া করেন না। এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের অতীতের ভুল থেকে সংশোধন করে মানুষের কাছে যেতে বলেন তিনি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

 

 

সম্পর্কিত পোস্ট