রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগ এক্সারসাইজ টাইগার লাইটনিংয়ের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ডের যৌথ অংশগ্রহণে ‘এক্সারসাইজ টাইগার লাইটনিং (টিএল)-২০২৪’ এর সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাজেন্দ্রপুরের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিংয়ে (বিপসট) এই যৌথ অনুশীলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুশীলনের সফল সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে। আইএসপিআ এর তথ্যমতে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, ‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী অবদান রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণে সহযোগী বন্ধুপ্রতীম দেশসমূহের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী’। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অনুশীলন টাইগার লাইটনিং দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা বৃদ্ধিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরো বিস্তৃত করতে সহায়ক হবে। এছাড়াও প্রধান অতিথি এই অনুশীলন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিপসট ও যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিক কমান্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

আইএসপিআর জানায়, সমাপনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল জসুয়া লং বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও ধারাবাহিক সাফল্য সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এই অনুশীলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণের মান ও পেশাদারিত্ব আমাদের অভিভূত করেছে’।

এ সমাপনীতে বিপসটের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি অনুশীলনে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল সদস্যদের দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে অনুশীলন সম্পন্ন করায় বিশেষ ধন্যবাদ জানান। গত ২১ এপ্রিল শুরু হওয়া দুই সপ্তাহব্যাপী এই অনুশীলনে কমান্ড পোস্ট অনুশীলনের প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর ‘মিলিটারি ডিসিশন মেকিং প্রসেস’ এবং জাতিসংঘে প্রচলিত ‘মিলিটারি প্ল্যানিং প্রসেস’র উপর বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। উভয় দেশের বিষয় সম্পর্কিত অভিজ্ঞ (এসএমই) প্রশিক্ষকদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে পরিচালিত এ সকল প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অধিকতর সফল ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট