রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছি: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশ নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে বলে মন্ত্রব্য করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডা বার্জ ভন লিন্ডে (Alexandra Berg Von Linde)-সৌজন্য সাক্ষাৎ কালে তিনি এ কথা বলেন।

রোববার (৫ মে) সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে সাক্ষাৎকালে তাঁরা পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

রাষ্ট্রদূত, গ্রীন ট্রানজিশন, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি ও সুইডেনের অবস্থান নিয়ে আলোচনাকালে বলেন প্রায় ৪০ বছর ধরে তৈরি পোষাক খাতে বাংলাদেশের সাথে সুইডেন ও সুইডেনের কোম্পানি কাজ করছে। এর মাঝে H&M, IKEA ও Lindex অন্যতম। বাংলাদেশ ও সুইডেন যৌথভাবে তৈরি পোষাক খাতে গ্রীন ট্রানজিশনের জন্য অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে পারে। কীভাবে নবায়ণযোগ্য জ্বালানিতে আরো অবদান রাখা যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়।

প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। নবায়ণযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে ১২০৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন চলমান ও প্রক্রিয়াধীন। ৩২৫৩ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প চলমান এবং আরো ৭৮৬১ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বায়ু বিদ্যুৎ নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন, যদিও ইতোমধ্যে উইন্ড ম্যাপিং সম্পন্ন হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০% হবে পরিষ্কার বিদ্যুৎ।

আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ সহনীয় মূল্যে সকলের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা। নবায়ণযোগ্য জ্বালানির জন্য বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন। স্মার্ট গ্রীড এবং সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা আরো আধুনিক করা দরকার। সরকার চেষ্টা করছে, জাতীয় গ্রীডে নবায়ণযোগ্য জ্বালানির অংশ বাড়াতে।

স্বাক্ষাৎকালে, সুইডেন দূতাবাসের পলিটিক্যাল, ড্রেড এন্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান লভিসা হোফম্যান (Lovisa Hofmann) উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট