শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

কুড়িগ্রামে পুলিশকে ধাওয়া দেয়ার ঘটনায় মামলা

পিস বাংলা By পিস বাংলা জুলা২৬,২০২১
  • কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

লকডাউনে জনসমাগম ঠেকাতে ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে গিয়ে জনতার ধাওয়ার শিকার হন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার এএসআই বুলবুল ইসলাম ও কনস্টেবল আজমাইন ইসলাম।

রোববার (২৫ জুলাই ২০২১) রাতে এ ঘটনায় উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদি হয়ে কচাকাটা থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

কচাকাটা পুলিশ জানায়, চলমান লকডাউন কার্যকর এবং স্বাস্থ্যবিধি মানাতে রোববার পৌনে ৭টার দিকে কচাকাটা বাজারে প্রতিদিনকার দায়িত্ব পালন করছিলেন এএসআই বুলবুল ইসলাম এবং কনস্টেবল আজমাইন ইসলাম। দায়িত্ব পালনকালে গরুর হাটের দিকে ব্যাপক জনসমাগম দেখতে পান তারা। সেই জনসমাগম রোধ এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনুরোধ করলে কয়েকজন জনতা দৌড় দিলে কিছু লোক উত্তেজিত হয়ে উল্টো এএসআই বুলবুল ইসলাম ও কনস্টেবল আজমাইনকে ধাওয়া করেন।

এদিকে ধাওয়া খেয়ে এএসআই বুলবুল কচাকাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের পাশে অবস্থিত তার বাসায় প্রবেশ করেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা লাঠিসোটা নিয়ে তার বাসার সামনে অবস্থান নেন এবং বাসার গেট ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। পরে এ খবর পেয়ে ওসি মাহাবুব আলমসহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা ঘটনা স্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং এএসআই বুলবুলকে থানায় নিয়ে আসেন।

এ ঘটনায় সোমবার (২৬ জুলাই ২০২১) সকালে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং এ বিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কচাকাটা হাটে মানুষের সমাগম রোধে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছিল। এ সময় হাটের কিছু দুষ্টু লোক গুজব ছড়িয়ে দেয় যে হাটে এসে পুলিশ মারপিট করছে। ফলে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে এমন অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

সম্পর্কিত পোস্ট