শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

সংবাদপত্র শিল্পে করপোরেট কর কমানোর আশ্বাস এনবিআরের

পিস বাংলা By পিস বাংলা ফেব্রু৬,২০২২
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়াতে দেশের সংবাদপত্রের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এই অবদান অস্বীকার করা যাবে না। কাজেই সংবাদপত্র শিল্পকে সহায়তা করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সমস্যা নেই বলে জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২) সংবাদপত্র শিল্প মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাটকোর সঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠানে এ আশ্বাস দেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

আবু হেনা বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে সংবাদপত্র শিল্পে করপোরেট কর কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। কর প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে অটোমেশন করা হচ্ছে। এতে সবকিছু নিয়ম মাফিক চলবে। শিগগিরই করদাতারা অটোমেশনের সুবিধা পাবেন।

আলোচনা সভায় নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ সংবাদপত্র শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং এই শিল্পের সুরক্ষায় আসন্ন বাজেটে বিভিন্ন প্রস্তাব দেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমানে সংবাদপত্র শিল্পে করপোরেট কর ৩০ শতাংশ। কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এত বেশি কর দিয়ে টিকে থাকা সম্ভব নয়। এ শিল্পে করপোরেট কর কমিয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেন তিনি।

সংবাদপত্র শিল্পের কর কমানোর প্রস্তাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে, যাতে আগামী বাজেটে এর প্রতিফলন দেখা যায়।

নোয়াবের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে-আমদানি পর্যায়ে নিউজপ্রিন্টের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার, বিজ্ঞাপন বিলের ওপর আরোপিত উৎসে কর ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার এবং বাড়িভাড়া ৭০ শতাংশ পর্যন্ত করমুক্ত করা।

অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল অনার্স বা আ্যটকোর সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া প্রধানত ব্যক্তি খাতের বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভরশীল।

বর্তমানে বিজ্ঞাপন বিলে যে উৎসে কর কাটা হয় তা পরিশোধ করতে হয় চ্যানেলগুলোকে। এতে করে অনেক চ্যানেল আর্থিক চাপে রয়েছে।’ বিজ্ঞাপন বিলের উৎসে কর যাতে বিজ্ঞাপনদাতারাই পরিশোধ করে সেজন্য আগামী বাজেটে ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ করেন তিনি।

নোয়াবের নির্বাহী সদস্য ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছে। অথচ সংবাদপত্র শিল্পের জন্য এক টাকাও দেয়নি। করোনা পরবর্তী সময়ে দেশের সংবাদপত্র শিল্প ভয়াবহ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদপত্র শিল্পকে সেবামূলক হিসেবে বিবেচনা করে আগামী বাজেটে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট