শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে: আল মঈন

নিজস্ব প্রতিবেদক By নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রু৪,২০২৪

বিভিন্ন সংগঠন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজির কারণে অযৌক্তিকভাবে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে জানিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। ঢাকায় অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টি স্থানে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা চাঁদা উত্তোলন করা হয়।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, সম্প্রতি অযৌক্তিকভাবে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখ ও পাইকারি বাজার এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা উত্তোলনের সময় হাতেনাতে ৫১ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে একযোগে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বাবুবাজার, গুলিস্তান, দৈনিক বাংলা মোড়, ইত্তেফাক মোড়, টিটিপাড়া, কাজলা, গাবতলী ও ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব।

গ্রেফতাররা হলেন- জাবেদ, আরিফ, আবুল হোসেন, বিল্লাল হোসেন, আলী হোসেন, রাকিব হাসান, ফালান মিয়া, সাকিব আলী, বাবলু ও রাজাসহ মোট ৫১ জন। তাদের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ১২ হাজার টাকা, ১ টি লেজার রশ্মির লাইট, ৬ টি সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জ্যাকেট, দু’টি অন্যান্য লাইট, ৪ টি আইডি কার্ড, ৪১টি মোবাইল এবং বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায়ের রশিদ জব্দ করা হয়েছে।

খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি করে গ্রেফতাররা। তথাকথিত ইজারাদারদের নির্দেশে কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিরাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্যবাহী যানবাহন রাজধানীতে প্রবেশের সময় তারা গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারদের থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রশিদও দিয়ে থাকে।

ড্রাইভাররা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গাড়ি ভাঙচুর, ড্রাইভার-হেলপারকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দিতো গ্রেফতাররা। তারা প্রতিটি ট্রাক ও পণ্যবাহী যান থেকে ২০০-৩০০ টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। কখনো সিটি করপোরেশন, কখনো শ্রমিক সংগঠন, কখনো কল্যাণ সমিতি, কখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে এ চাঁদা উত্তোলন করা হয়।

খন্দকার আল মঈন বলেন, রমজানকে সামনে রেখে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। চাঁদাবাজির সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত ওপরের লেভেলের কয়েকজনের নাম পেয়েছি, যাচাই-বাছাই করছি। তারা যে সংস্থারই হোক অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ হোক, এমনকি আমাদের কোনো সদস্য হলেও আইনের আওতায় আনা হবে।

 

সম্পর্কিত পোস্ট