সোমবার, ২০ মে ২০২৪

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক By নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ৫,২০২৪

পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে হাফিজ উদ্দিন হাজির হয়ে আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ প্রদান করেন।শুনানিতে আইনজীবী বলেন, সাজার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। তাই আসামিকে এই মামলায় জামিন দেওয়া হোক।

গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর এ মামলায় হাফিজ উদ্দিনসহ আট জনকে  বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ে আসামিদের মধ্যে এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও মেজর (অব.) মো: হানিফকে দণ্ডবিধির আলাদা দুই ধারায় মোট ২১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে আসামি এম এ আউয়াল খান, মোঃ. রাসেল, মঈনুল ইসলাম, বাবুল হোসেন ওরফে বাবু ও আলমগির বিশ্বাস ওরফে রাজুকে দণ্ডবিধির আলাদা দুই ধারায় মোট ৪২ মাসের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ১১ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, এম এ কাউয়ুম, মোঃ. দুলাল, তোফায়েল আহমেদ ওরফে লিটন, জাহাঙ্গীর শিকদার ওরফে বাবু, আরিফুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, সামসুল হক মিয়াজী, বিপ্লব, খুরশিদ আলম মমতাজ, মোশারফ হোসেন ও মাহাবুব।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ জুন সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে গুলশান থানার মহাখালী ওয়্যারলেস গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করেন এবং পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন আসামিরা। এছাড়া, রাস্তায় চলাচলরত গাড়িতে ভাঙচুর করেন এবং আগুন ধরিয়ে দেন তারা। এ অভিযোগে গুলশান থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন গুলশান থানার এসআই কামরুল হাসান তালুকদার। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামালায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাত সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

সম্পর্কিত পোস্ট