রবিবার, ৫ মে ২০২৪

পুলিশের সেবা আইন-শৃঙ্খলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়: ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক By নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রি২৫,২০২৪
পুলিশ একটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা দিবা-রাত্রি ২৪ ঘণ্টা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে থাকে। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে চাই পুলিশের সেবা কেবল আইন-শৃঙ্খলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সেটি তারা দেখিয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে, ২০১৩ সালে ও করোনাকালেও। বর্তমানে হিটওয়েভসহ যেকোনো দুর্যোগে জীবন বাজি রেখে জনসাধারণের সেবা প্রদান করতে কুণ্ঠাবোধ করেননি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজারবাগে পুলিশ অডিটোরিয়ামে প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা–২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন
পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের লক্ষাধিক প্রতিযোগীর মধ্য থেকে বাছাইকৃত ১৫৫ জন প্রতিযোগী ১০টি ক্যাটাগরিতে চূড়ান্ত বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এ বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শেষ হবে শনিবার।
বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটার অ্যান্ড কালচারাল ক্লাবের সভাপতি ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৪ শুরু হয়েছে। প্রথম দিন নজরুল সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন একুশে পদকে ভূষিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নজরুল সঙ্গীত শিল্পী শাহীন সামাদ, বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ও নজরুল গবেষক সুজিত মোস্তফা এবং প্রথিতযশা কণ্ঠশিল্পী চন্দনা মজুমদার।
হাবিবুর রহমান বলেন, একজন নাগরিক জীবনের সব ক্ষেত্রেই পুলিশের অবস্থান রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে পুলিশ চেয়েছিলেন আজকের পুলিশ, সেই পুলিশে পরিণত হয়েছে বলে মনে করি। পুলিশ যেমন প্রয়োজন জীবন বাঁচাতে, ঠিক তেমনি সংস্কৃতির প্রয়োজন হয় জীবন সাজাতে। সেই প্রতিজ্ঞা নিয়েই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
এতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামানসহ যুগ্মকমিশনার ও উপকমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করার জন্য ১৯৮৬ সালে তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ আর খন্দকার ১০জন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে ‘বাংলাদেশ পুলিশ সাংস্কৃতিক পরিষদ’ প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার এ কে এম শহীদুল হক ও উপকমিশনার (সদরদফতর) হাবিবুর রহমান (বর্তমানে ডিএমপি কমিশনার) থাকাকালীন পুলিশ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ হিসেবে নামকরন করেন। পরবর্তীতে পুলিশ থিয়েটার অ্যান্ড কালচারাল ক্লাব নামকরণ করা হয়।
পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সুকুমার মনোবৃত্তি ও সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশের সংগঠন হলো বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটার অ্যান্ড কালচারাল ক্লাব। সর্বমোট ৮০ জন শিল্পী ও কলাকুশলী এ ক্লাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি এ সংগঠনের সদস্যরা বিভিন্ন নাটক ও নাচ-গানের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট